ধারণা করা হয়, বর্তমানে সারা পৃথিবীতে প্রায় ৫শ বিলিয়ন থেকে ১ ট্রিলিয়ন পাটের ব্যাগের চাহিদা রয়েছে। এ ঘটনাকে বাংলাদেশের মতো পাট উৎপাদনকারী দেশের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পরিবেশের কথা মাথায় রেখে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক আইন-২০১০ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। আইনে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যের মোড়ক হিসেবে ৭৫ শতাংশ পাট আছে এমন উপাদান দিয়ে তৈরি মোড়ক ব্যবহারের বিধান রাখা হয়। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক যৌথভাবে পরিচালিত ‘জুট অ্যান্ড বাংলাদেশ ইকোনমি’ শীর্ষক সমীক্ষায় বলা হয়, পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক আইন-২০১০ পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা গেলে দেশে বার্ষিক পাটের ব্যাগের চাহিদা ৯০ হাজার পিস থেকে বেড়ে ৮৪ কোটি পিসে উন্নীত হবে। এতে ৫৩,৯,২০০ টন পাটের আঁশের প্রয়োজন হবে, যা দেশের মোট পাট উৎপাদনের ৭৭ শতাংশ। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে ১ লাখ পাটের ব্যাগ রফতানি করা হয়। ভারত এ ধরনের আইনের বাস্তবায়ন করে দেশের পাট খাতকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষাতেও সাফল্য পেয়েছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে ভারত পাটজাত দ্রব্য রফতানি করেছে ১ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকার, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে ভারত ৪০ মিলিয়ন পাটের ব্যাগ রফতানি করে এবং ২০১১-১২ সালে এটি ৭৫ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।সংশ্লিষ্টরা। দুনিয়াব্যাপী পাটের ব্যাগের চাহিদা বৃদ্ধি ও দেশের উন্নতমানের পাট এ দুই হাতিয়ার কাজে লাগাতে পারলেই সফলতা আসতে পারে। পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ তৈরি করে পরিবেশের পাশে দাড়িয়ে দেশের অর্থনৈতির চাকাকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে “জে.এন্ড.এস জুট মিল” এগিয়ে যাচ্ছে।